নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ মেনে নেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর উত্তর কাট্টলীতে নিজ বাসভবনে সুজনের নেতৃত্বাধীন নাগরিক উদ্যোগের এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমরা হাইকোর্টের রায়কে অবশ্যই সম্মান করি। আইন-আদালত সবকিছুর ঊর্ধ্বে কিন্তু মানবতা। কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়া হাতেগোনা মাত্র কয়েকদিন সময় দিয়ে প্রায় ১৪ হাজার বাসিন্দাকে তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা সম্পূর্ণ অমানবিক। আমরা এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের আদি বাসিন্দাদের ভিটেমাটি উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বিভিন্ন সংস্থা অধিগ্রহণ করে পরে সেগুলো আবার বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেয়। এরকম উদাহরণ চট্টগ্রামে আছে। ২০০৫ সালেও লালদিয়ার চরের ৫০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল চরম অমানবিকভাবে। আমরা তখনো এর প্রতিবাদ করেছিলাম। পরবর্তী সময়ে তাদের ভিটেমাটি বেসরকারি অফডকের জন্য একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়া হয়। আমাদের আশঙ্কা, এবারও বন্দর কর্তৃপক্ষ একই পথে এগোচ্ছে।’
নগরীর পতেঙ্গায় বিমানবন্দর ঘাঁটি সম্প্রসারণের জন্য ১৯৭২ সালে কয়েক হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে সরিয়ে লালদিয়ার চরে পুনর্বাসন করে তৎকালীন সরকার। ১৯৭৫ সালের পর বিভিন্ন আইনি জটিলতার ফাঁকে লালদিয়ার চরের ওই ভূমি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুকূলে বিএস জরিপে লিপিবদ্ধ করা হয়। এরপর থেকে লালদিয়ার চরের বাসিন্দাদের বেআইনিভাবে বসবাসকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
২০০৫ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ লালদিয়ার চরে বসবাসরত প্রায় ৫০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করে সেই ভূমি ইজারা দেয় ইনকনট্রেড লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। সেখানে ওই প্রতিষ্ঠান একটি অফডক নির্মাণ করেছে। লালদিয়ার চরে এখন প্রায় ২৩০০ পরিবারের ১৪ হাজার মানুষ বসবাস করছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আরও ২৫ একর জায়গা উন্নয়ন করে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে লালদিয়ার চরের কয়েক হাজার মানুষ মানববন্ধন করে উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আগামী ৮ মে ১ম
ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই লক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন
কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা
গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টার সময়
উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস)
এবং খাদিজা আক্তার আঁখি(পদ্মফুল) এই দুই প্রার্থী একই সঙ্গে প্রাচারণা চলাকালে মুখোমুখি
হয়ে যায়। পরে দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যায় পরিস্থিতি গোলাটে
হওয়ার মুহূর্তে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ
বশির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচারণা কালে প্রচারণা কাজে বাঁধা প্রদান
করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি
১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এক্ষণে, আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে
লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
শোকজের বিষয়ে জানতে মেহেরুন নেছা উত্তরা
(কলস)কে মুটোফোনে কল দিলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া আরেক
প্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্মফুল)কে কল দেওয়া হলে রিসিভ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।